শচীনের অপেক্ষায় পন্টিং
একজন ক্রিকেটার গোটা জীবনে যা যা অর্জন করার স্বপ্ন দেখেন, বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ নেওয়া ছাড়া তার প্রায় সবই পেয়ে গেছেন শচীন টেন্ডুলকার। রেকর্ডের দিক থেকে তাঁর ধারেকাছেও কেউ নেই। তার পরও বর্তমান সময়ের ক্রিকেটারদের মধ্যে তুলনা করতে গেলে আসবে রিকি পন্টিংয়ের নাম।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক শচীন। শচীনের ঠিক পরেই আছেন পন্টিং, ব্যবধানটা অবশ্য অনেক। তবে ক্রিকেটবিশ্ব যে এই দুজনের লড়াই দেখার প্রতীক্ষায় আছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অপেক্ষায় আছেন পন্টিংও, শচীনের জাদুকরি ব্যাটিং দেখার। ‘ওর খেলা দারুণ উপভোগ করি আমি। শচীন ও তাঁর দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগের অপেক্ষায় থাকি’—আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন পন্টিং।
দুজনের জন্যই শেষ বিশ্বকাপ এটি। প্রত্যেকে চাইবেন, দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়ে শেষটা চিরস্মরণীয় করে রাখতে। এই চাওয়াটা হয়তো একটু বেশিই থাকবে শচীনের। বর্ণিল ক্যারিয়ারে এই একটা শিরোপা ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছুই যে আর অধরা নেই! কিন্তু শচীনের স্বপ্ন পূরণ হলে পন্টিংকে হতাশায় ডুবতে হবে—বাস্তবতা এটাই। বিষয়টি মাথায় রেখে পন্টিং বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, একটা সফল প্রতিযোগিতার অপেক্ষায় শচীন। আমি এও নিশ্চিত, বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হতে চাইবে ও। আশা করছি, শচীন এটা পারবে না!’
পন্টিংকে স্বার্থপর ভাববেন না। নিষ্ঠুর বাস্তবতা হলেও লড়াইয়ের ধরনটাই এমন। ব্যক্তিগত ভালো লাগা-মন্দ লাগা বিবেচ্য নয় এখানে। দেশের স্বার্থটাই আসল। শচীনের খেলা ভালোবাসেন, ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভালো, কিন্তু শচীন বিশ্বকাপ শিরোপা নিয়ে মেতে উঠেবেন, এমনটা কামনা করবেন না পন্টিং। তার পরও দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব থেকেই পন্টিং বলছেন, ‘সম্ভবত এটাই শচীনের শেষ বিশ্বকাপ। সম্ভবত আমারও। একে অপরের বিপক্ষে বছরের পর বছর খেলে ভাগ্যবান আমরা। আগামী কয়েক সপ্তাহও আমরা উপভোগ করব।’
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন